Posts

এশিয়ার দ্বিতীয় ইউরোপীয় মেডিকেল কলেজ

Image
এশিয়ার দ্বিতীয় ইউরোপীয় মেডিকেল   কলেজ এশিয়ার দ্বিতীয় ইউরোপীয় মেডিকেল কলেজ ১৮৩৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।এই কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় যুবকদের ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যায় শিক্ষিত করা।প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রদের কলেজে ভর্তি নেওয়া হত যার  আধিকাংশ ছাত্রই হেয়ার স্কুলের।এই কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে নাম জড়িয়ে আছে কাদম্বিনী গাঙ্গুলির যিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক।এছাড়াও উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারি,ডঃ বিধান চন্দ্র রায়,নারায়ন রায়,ভুপেলচন্দ্র বসু প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের। pic courtesy- Google পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজের পার্শ্ববর্তী স্থানে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়, এই হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ বলে সমর্থন করেছিলেন তৎকালীন মেডিকেল কলেজের মুখ্যসচিব ডেভিড হেয়ার।এরপর কলেজ পার্শ্ববর্তী জমিতেই হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করার সিধান্ত নেওয়া হয়। লর্ড ডালহৌসি এই হাসপাতালের  ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।হাসপাতাল স্থাপনের পর ১৮৫২ সাল থেকে রুগি ভর্তি হতে শুরু করেছিল।

বিদ্যাসাগর সেতু

Image
বিদ্যাসাগর সেতু ১৯৪৭ এর স্বাধীনতার পর পর হাওড়া ও কলকাতা শহরের যোগাযোগের একমাত্র সেতু হাওড়া ব্রিজের ওপর ক্রমশ যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।রাজ্য সরকার হাওড়া ব্রিজের যান কমানোর উদ্দেশ্যে ১৯৬৭সালে দ্বিতীয় হুগলি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরপর ১৯৭০সালে ভারত সরকার দ্বারা পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হয়।  তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালে ২০ মে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এই সেতুর রূপায়ণ ইংল্যান্ড ও জার্মানির একটি বাণিজ্যিক সংস্থা দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল।  ২০বছরের দীর্ঘ সময় পর এই সেতুর নির্মাণ কার্য সম্পূর্ণ হয়েছিল। ৮৩০ মিটারের সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ৩৮৮ কোটি ৩৪লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল।  pic courtesy- Google  দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১৯৯২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী  পি. ভি নরসিমহা রাও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর  উদ্বোধন করেন।এই সেতুর অপর নাম বিদ্যাসাগর সেতু । 

রাষ্ট্রগুরু

Image
রাষ্ট্রগুরু ভারত তখন পরাধীনতার শিকার,এই সময়কালে অন্যতম জননেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুরেন্দ্রানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।কলকাতার১০নভেন্মবর ১৮৪৮ সালে এক কুলিন ব্রাহ্মন পরিবারে তার জন্ম হয়।পিতা দুর্গা চরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় অনুপ্রানিত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তর পাশ করে শিক্ষা সুত্রে ইংল্যান্ডে যান তিনি।১৮৭৫ সালের দেশ মাতার কাছে ফের ফিরে আসেন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরবর্তীকালে ভারতীয় রাজনীতিতে নেমে পড়েন।ভারতীয় ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন নামে একটি রাজনৈতিক বৈঠকে তিনি বলেন “আমাদের ধর্ম আলাদা হতে পারে-সামাজিক কাজ আলাদা হতে পারে কিন্তু দেশের কল্যাণের স্বার্থে আমাদের একত্র হতে হবে।এইভাবে ধীরে ধীরে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সকলের মন জয় করে নেন।১৯০৫সালের বঙ্গ প্রদেশের বিভক্তির প্রতিবাদি আন্দলনের শীর্ষে ছিলেন তিনি। ৪০ বছর দ্য বেঙ্গালি নামে একটি পত্রিকায় সম্পাদনার কাজ করেন তিনি।এই পত্রিকায় তার মন্তব্য কে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হন বন্দ্যোপাধ্যায় শোনা যায় পরাধীন ভারতের প্রথম সাংবাদিক যিনি কারাবন্দি হয় ছিলেন।  picture courtesy- Google ১৯১৯সালে সুরেন্দ্রনাথ পরবর্তী কালে ভারতীয় জাতীয় ক...

বিশ্ব ধর্ম সন্মেলনে নরেন্দ্রনাথ

Image
বিশ্ব ধর্ম সভায় নরেন্দ্রনাথ ভারতবাসীর গর্ব,লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতির আইকন তিনি।১৮৬৩ সালে উত্তর কলকাতায় সিমলা পাড়ায় বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন নবজাগরণের অ্ন্যতম প্রানপুরুষ। গৈরিক বসন পরে আমেরিকার শিকাগো শহরে হাজির বিবেকানন্দ।১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ্মহা ধর্মসম্নেলন এর আয়োজন করা হয়ছিল আজও দিনটা প্রত্যেক ভারতবাসীর স্মরণে।নিমন্ত্রন না পেয়েই টাকা জোগাড় করে আমেরিকার শিকাগো শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ছিলেন স্বামীজি।সেখানে পৌঁছে প্রথম বক্তৃতার জন্য  মাত্র ৫ মিনিটের সময় পেয়েছিলেন তিনি। শুরু করার আগে গুরুদেব শ্রী রাম কৃষ্ণকে স্মরণ করেন। হাজার হাজার আমেরিকানদের ভাই-বন বলে সম্বোধন করলেন।এতেই অর্ধেক আমেরিকানদের মন জয় করে নিয়েছিলেন বিবেকানন্দ।তিনি বললেন কোন মানুষের ধর্ম পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই,আধ্যাত্মিকতা-পবিত্রতা কেবল নির্দিষ্ট ধর্মসম্প্রদায়ের  একচেটিয়া বস্তু হতে পারে না।প্রত্যেক ধর্ম শেখায় ধ্বংস নয় আত্মস্ত করে নেওয়া,ভেদ দন্দ নয়,সামঞ্জস্য ও শান্তি, যুদ্ধ নয় সাহায্য ।এইভাবেই সকলের সামনে মহা মিলনের বার্তা দিলেন।এই বক্তৃতার পর সারা বিশ্বে খ্যতি ছড়িয় পরে বিশ্বনাথ ও ভুবনেশ...

দুই চাকায় দুনিয়া ভ্রমণ

Image
দুই চাকায় দুনিয়া ভ্রমন দুই পায়ে প্যাডেল করে ১৯৩১সালে প্রথম দুনিয়া ভ্রমন শুরু করেন রামনাথ বিশ্বাস। এরপরই বিশ্ব ভ্রমনের  নেশায় দেশ দেশান্তরে পৌঁছে যান তিনি।তাঁর জন্ম আসামের সিলেট জেলার  বানিয়াচংয়ে। রামনাথের পিতা বিরাজনাথ বিশ্বাস ও মাতা গুনাময়ী দেবী। পিতার অকাল মৃত্যুতে  হারিশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির গণ্ডি পাড় করতে পারেননি তিনি।  পরবর্তীতে রামনাথ জাতীয় ভাণ্ডারে পরিচালক হিসাবে নিজের কর্ম জীবন শুরু করেন,এরপর গোপনে অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন।সেখান থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বাঙালি পল্টনে সৈনিক হিসাবে মেসপটেমিয়ায় যুদ্ধে যোগদান করেন। ৭জুলাই,১৯৩১ সালে সিঙ্গাপুরের কুইন স্ট্রিট থেকে প্রথম বিশ্ব ভ্রমনের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।সাথে ছিল দুইটি র্্যপার,এক জোড়া জুতো আর সাইকেল মেরামতির কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় রাম নাথ তার সাইকেলের ফ্রেমে লিখে রেখেছিলেন “বিশ্বকে গোল কর, হিন্দু ভ্রমণকারী”। বাঙালি সহ প্রবাসী বাঙালিরাও তার সাফল্য কামনা করেছিলেন।   picture courtesy- Google প্রথমবার ১৯৩১সালে তিনি মায়ালা-সিয়াম-ইন্দচিনা-চিন-জাপান-করিয়া-কানাডা হয়ে আবার ভ...

History Recall

Image
জন্ম সুত্রে নয়,কর্ম সুত্রে রাজা রাজার কাজ শুধু দেশ শাসন করা নয়,,দেশের জন্য কিছু করা। এই রাজাকে আধুনিক ভারতের নির্মাতা বলা হয় । ঠিক ধরেছেন ইনি রাজা রাম মোহন রায়।রায় জন্মগ্রহন করেন ইংরাজি ১৭৭২ সালের ২২শে মে বাংলার রাধানগরে ।পিতা রামাকান্ত রায় ও মাতা তারিণী দেবি। ব্রাহ্মন পরিবারে জন্ম হয় তার,তাই হয়ত তিনি খুব অল্প বয়সে ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছিলেন। রায় বুঝেছিলেন ধর্ম মানে কুসংস্কার নয়, ধর্ম মানে কারোর স্বাধীনতা কেরে নেওয়া নয়,ধর্ম মানে নারীর অসন্মান নয়।  রাম মোহন রায় এর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি পাটনার মাদ্রাসায় যান সেখানে গিয়ে ফরাসি-আরবি   ভাষা সেখেন।এছারাও  বাংলা-হিন্দি-ইংরাজি- সংস্কৃত ভাষা তার জানা ছিল।তিনি তার শিক্ষাকে সমাজ সংস্করনের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।সমাজকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে তিনি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবক্তা ছিলেন।১৮৩০সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা সহ ১৮২২ সালের অ্যাংলো হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সহায়তা করেন।  এই বহুমুখী সমাজবিধ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৮২৮ সালে।এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু সমাজের কুফল গুলি...