History Recall
জন্ম সুত্রে নয়,কর্ম সুত্রে রাজা
রাজার কাজ শুধু দেশ শাসন করা নয়,,দেশের জন্য কিছু করা। এই রাজাকে আধুনিক ভারতের নির্মাতা বলা হয় । ঠিক ধরেছেন ইনি রাজা রাম মোহন রায়।রায় জন্মগ্রহন করেন ইংরাজি ১৭৭২ সালের ২২শে মে বাংলার রাধানগরে ।পিতা রামাকান্ত রায় ও মাতা তারিণী দেবি। ব্রাহ্মন পরিবারে জন্ম হয় তার,তাই হয়ত তিনি খুব অল্প বয়সে ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছিলেন। রায় বুঝেছিলেন ধর্ম মানে কুসংস্কার নয়, ধর্ম মানে কারোর স্বাধীনতা কেরে নেওয়া নয়,ধর্ম মানে নারীর অসন্মান নয়।
রাম মোহন রায় এর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি পাটনার মাদ্রাসায় যান সেখানে গিয়ে ফরাসি-আরবি ভাষা সেখেন।এছারাও বাংলা-হিন্দি-ইংরাজি- সংস্কৃত ভাষা তার জানা ছিল।তিনি তার শিক্ষাকে সমাজ সংস্করনের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।সমাজকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে তিনি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবক্তা ছিলেন।১৮৩০সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা সহ ১৮২২ সালের অ্যাংলো হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সহায়তা করেন।
এই বহুমুখী সমাজবিধ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৮২৮ সালে।এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু সমাজের কুফল গুলির বিরোধিতা করা। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ কে কুসংস্কার এর হাত থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।তাই রতা এই সব সমাজবিরধি কাজের বিরোধিতা করতেন। অনেক সময় বিরোধিতা করায় তাকে বহু প্রতিকূলতার সন্মুখিন হতে হয়ছিল, যেমন সতীদাহ প্রথা চলা কালীন তিনি এর তীব্র নিন্দা করেন এবং প্রতিবাদ এ সরব হন ।অনেক কোঠর পরিশ্রমের পর ফলসরুপ তৎকালীন বঙ্গীয় গভারনার লর্ড উলিয়াম বেন্টিক ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।এছারাও তিনি বাড়ির মেয়েদের পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারির আধিকার চেয়েছিলেন।
Picture courtesy- Google
তিনি “আমাদের আধুনিক ভারতের পিতা”এই বলে গোপাল কৃষ্ণ গোখলে রায় ক আবিহিত করেন, রায় জন্ম সুত্রে রাজা না হলেও কর্ম সুত্রে তিনি রাজা ,আসলে ১৮৩০ সালে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারকে মুঘল সম্রাটের উপবৃত্তি ₹৩০,০০০ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মানীয়ে ছিলেন এরপর ১৮৩১ সালে মুঘল সম্রাট আকবরের কাছ থেকে 'রাজা'উপধি পেয়েছিলেন।